স্ত্রীর ফেসবুকে ঢুকে চ্যাটিং দেখতে পাই.

sexstories

Administrator
Staff member
আমার দাম্পত্য জীবন প্রায় পাঁচবছরের। তিনবছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। স্ত্রীর সঙ্গে ভালোবাসার কমতি নেই। ও যথেষ্ট ভালোবাসে আমাকে।

পেশার কারণে আমাদের দুজনকে দুজায়গায় থাকতে হয়। আমরা একে অপরের প্রতি যথেষ্ট বিশ্বস্ত। তবে ওর কিছু সমস্যা আছে যা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি। ও প্রচণ্ড রাগী ও জেদী। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একে অপরকে বোঝার উপর সম্পর্ক নির্ভর করে, সেটা জানি। ওকে আমি বুঝি ঠিকই কিন্তু ও আমাকে বুঝতে চায় না। ওর বিষয়গুলোকে প্রধান্য দিলেও আমারটা না। যেমন ও কোন কারণে রাগ করলে আমি নরম হয়ে সেটা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করি। কিন্তু আমার বেলায় ও তা করে না। আমার কর্মব্যস্ততায় ফোন ধরতে না পারায় ও অনেক সময় ঝগড়া জুড়ে দেয়। ওর ব্যস্ততা আমি মেনে নেই।

এছাড়া আরেকটি বিষয় হলো ফেসবুক। আমরা আমাদের পাসওয়ার্ড জানি। আমি আইডি করে দিয়েছি। কিছুদিন আগে ওর ফেসবুকে হঠাৎ করে ঢুকে চ্যাটিং দেখতে পাই। অনাকাঙ্ক্ষিত দুটি লাইন দেখতে পেয়ে সীমা অতিক্রমের আগেই ওকে ফোন দিই। স্বাভাবিক কথা বলি এবং অন্যভাবে সতর্ক করে দিই, এতে ও রেগে যায়। জিজ্ঞাসা করে আমি কী বোঝাতে চাইছি। এক সময় রাগ উঠে গেলে আমি সরাসরিই বলি। সেটা অস্বীকার করে উল্টো ঝগড়া করে ব্লক করে দেয়। পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে। সেটিংস আমার কাছে থাকায় পুনরায় চেঞ্জ করে রাখি। পরবর্তীতে নিজ উদ্যোগে ওকে বুঝিয়ে সমাধান করি। এরপর থেকে যাতে এ ধরনের ভুল না হয় এজন্য একটু খেয়াল রাখার চেষ্টা করি।

বেশ কিছুদিন পর দেখলাম আরেকটি চ্যাটিং। বিষয়টি কিছু মনে করতাম না কিন্তু কয়েক লাইন পরপর ডিলেট করতো। তখন বিষয়টি নিয়ে ওর সঙ্গে কথা বললে ও ভীষণ ক্ষেপে যায়। আমিও চরম রাগে কয়েকদিন কথা বন্ধ রাখি। বলে রাখি আমি ওকে অনেক আগেই বুঝিয়েছি যে দেখ তুমি যদি কোনো ভুল করে এসেও বলো, আমি সব মেনে নেব। যেকোন বিষয়ই আমার সঙ্গে শেয়ার করো। কিন্তু না। সেই আগের মতোই চলছে চ্যাটিং আর ম্যাসেজ ডিলিটিং। এরকমটা চলছে কয়েকজনের সঙ্গে, তবে পরকীয়া না। এর মধ্য হয়তো দুই একজনের জনের সঙ্গে মাঝে মধ্যে ফোনে কথা হয়। ওর করা চ্যাটিং সবই আমার জানা। স্ক্রিনশট নিয়ে রাখি সব। কারণ ও ডিলিট করে দেয়। ওর ত্রুটিগুলো সংশোধন করতে চাই। আমি আমার মনের কথা বলার চেষ্টা করলেও দোষ। তার দোষ ত্রুটি খুজে বেড়াই বলে হৈচৈ করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে। সম্পর্ক এখন ভালো।কী করতে পারি?

### সত্যি কথা বলি ভাই, আপনার ধৈর্য দেখে আমি আসলে অবাক হয়ে যাচ্ছি। আপনি যে পরিমাণ সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন, সেটা আসলেই প্রশংসনীয়। তবে হ্যাঁ, আপনার সমস্যাটি কিন্তু খুব বেশি জটিল। যদিও এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরে, কিন্তু তাতে এত জটিলতা ফিকে হয় না। বরং সম্পর্ক ভাঙতে শুরু করলে তাকে থেকিয়া রাখা খুব কষ্টের একটি কাজ।
কি কারণে পুরুষরা অন্যের প্রেমিকা বা স্ত্রীর সাথে পরকীয়া করে ? জেনে নিন

আপনার চিঠি পড়ে এটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে আপনার স্ত্রীও এদেশের আরও অসংখ্য বিবাহিতা মহিলার মতই অন্যায় আচরণ করছেন। স্বামী কাছে থাকেন না, স্বামী সময় দিতে পারছেন না। ফলে স্ত্রী বাইরে সঙ্গ খুঁজে নিয়েছেন। এক না, একাধিক সঙ্গ খুঁজে নিয়েছেন। এইসব সম্পর্ক গুলো খুবই মারাত্মক। কারণ এইসব সো কলড "বন্ধুরা" ধরি মাছ না ছুঁই পানি ধরনের গেম খেলে। এদের কখনোই উদ্দেশ্য থাকে না বিবাহিতা নারীর সাথে সিরিয়াস সম্পর্ক করা বা তাকে নিয়ে সংসার ভেঙে বিয়ে করা। বরং তাঁদের মূল উদ্দেশ্য থাকে হয় আর্থিক সুবিধা আদায় করা, নতুবা যৌন সম্পর্ক করা। আর মহিলারাও এটা ভালোবাসা ভেবে অস্থির হয়ে যান, অনেক নারিকেই আমি দেখেছি যে ফেসবুকের এইসব সো কলড বন্ধুদের কাছে সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব। অনেক মহিলারই বিয়ে ও সন্তানের পর মাথায় এটা কাজ করতে শুরু করে যে তিনি হয়তো এখন আর আকর্ষণীয় নন, পুরুষের চোখে পড়েন না। তাই যখন ফেসবুকের বন্ধুরা প্রশংসা করে, এইটুকুতেই তাঁরা গলে যান। যাই হোক, আমি মনে করি যে স্ত্রীকে ফেসবুক আইডি খুলে দেয়াটাই ভুল হয়েছে। এই সোশ্যাল মিডিয়া অনেক সর্বনাশের কারণ, অনেক সংসার ও অনৈতিক সম্পর্কের কারণ এখন। আপনি যেগুলোকে "নিরীহ" চ্যাটিং মনে করছেন, সেগুলো দুষ্টু হয়ে যেতে সময় নেবে না। প্লাস, স্ত্রী ফোনে আসলে কী কথা বলে সেটাও আপনি জানেনে না। আর ভাই, কতদিন এভাবে আপনি গোয়েন্দা গিরি করে জীবন কাটাবেন। এক আপনি নিজেই সন্দেহ বাতিকগ্রস্থ হয়ে যাবেন, মানসিক সমস্যায় ভুগবেন। তাই এই বিষয়টির সমাধান হ্যাঁ খুবই জরুরী। এসব সম্পর্ক খুব দ্রুতই পরকীয়ায় রূপ নিয়ে থাকে।

আমি জানি না এটা সম্ভব কিনা, কিন্তু এখন আপনাদের সম্পর্ক ভালো রাখার ও স্ত্রীকে এসব থেকে সরিয়ে আনার একটাই উপায়, আর সেটা হচ্ছে একত্রে থাকা। স্ত্রী নিঃসঙ্গতায় ভোগেন আর সেটা থেকে মুক্তি পেতেই ভুল কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। আপনি যত দেরি করবেন, স্ত্রী তত জড়িয়ে যাবেন আর এক সময়ে ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে যাবে। সম্ভব হলে আপনারা একত্রে বাস করা শুরু করুন। সেটা সম্ভব না হলে ঘনঘন স্ত্রীর কাছে যান, ঘন ঘন তাঁর সাথে ফোন ও চ্যাট করুন। অর্থাৎ তাকে ১০০ ভাগ সঙ্গ দিন। স্ত্রী হিসাবে সেটা পাওয়ার তাঁর অধিকার। এটাও যদি কাজ না হয়, তিনি যদি তখনও চ্যাট ও ফোনে কথা চালিয়ে যেতে থাকেন, তাহলে উপযুক্ত প্রমাণ সহ তাঁর সাথে মুখোমুখি কথা বলুন। তাকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিন- আপনার মতে তিনি আপনার সাথে প্রতারণা করছেন। বলুন যে স্ত্রী আপনার সাথে সবকিছু গোপন করে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তাঁর সম্পর্ক গুলো সঠিক নয়। আর এটা আপনার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। স্ত্রী যদি চলে যেতে চান তো যেতে পারেন, কিন্তু আপনি এমন প্রতারণা মেনে নেবেন না। সন্তানকে মানুষ করতে হলে স্ত্রীকে হয় সংশোধিত হতে হবে, নতুবা আপনিও নিজের রাস্তা নিজে বেছে নেবেন।

ফুলশয্যার রাতে একজন পুরুষ স্ত্রীর কাছে থেকে যা আশা করে

মুখোমুখি কথা বলার পর দেখুন কী হয়। সংসার ভেঙে যাবে, এই ভাবনায় স্ত্রীর মনে অনুতাপ ও হারানর ভয় এলেও আসতে পারে। কারণ ওইসব সো কলড ফেসবুক বন্ধুরা আর যাই দিক, বিশ্বস্ততা কখনো দিতে পারবে না। আর ভাই, যত অন্যায় করেই আসুক মাফ করে দিব- এই ভাবনা মনে মনে রাখুন, মুখে কখনো প্রকাশ করবেন না। কারণ এটা অন্যায়ের শিকার হবার সম্ভাবনা বাড়ে। ভালোবাসার সম্পর্কে কিছু অন্যায় মেনে নেয়া যায় না, মেনে নেয়া উচিতও না। বরং মানুষ সেটাকেই গুরুত্ব দেয় যেটাকে সে হারানোর ভয় পায়। সব পরিস্থিতিতেই আপনি আছেন, স্ত্রীকে এটা বুঝতে দেবেন না। বরং চুল আচরণে তিনি আপনাকে হারিয়েও ফেলতে পারেন, এই ব্যাপারটিই তৈরি করে রাখার চেষ্টা করুন। আপনার ভালোবাসার মূল্য তাকে অনুধাবন করান।

Related Post
Share This:
 
Back
Top